শুনতে একটু অবাক লাগছে তাই না! চুলের যত্নে নারিকেল তেল নয়, ব্যবহার করার কথা বলছি পেঁয়াজের তেলকে। হ্যাঁ , চুলের পরিচর্যায় পেঁয়াজের তেলকে একটি অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পেঁয়াজে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এটি কেরোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই চুলের গোড়া শক্ত করতে ও দ্রুত বৃদ্ধি করতে, চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে চুলকে সিল্কি করতে, অকালে চুল পাকা বন্ধ করতে, নতুন চুল গজাতে, চুলের খুশকি কমাতে, চুলের আগা ফাটা রোধ করতে পেঁয়াজ বিশেষভাবে কার্যকরী। পেঁয়াজের সালফার জাতীয় উপাদান চুলের টাক পড়া কমাতে দারুণ কার্যকরী।
বর্তমান সময়ে অনেকেই চুলে তেল দিতে ভীষণ অনীহা প্রকাশ করে। কারণ তৈলাক্ত চুলে সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান করে দেয়। স্বল্প সময়ে সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য চুলে তেল না দেওয়ার এই প্রবণতা ধীরে ধীরে চুলের আসল সৌন্দর্যকে নষ্ট করে তোলে।
তাছাড়া চুলে তেল দেয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এতে সহজে চুলে শ্যাম্পু থেকে ফেনা তৈরি হতে চায় না। যার কারণে চুলও ভালোভাবে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পুর আগেও মাথায় ও চুলে তেল ম্যাসাজ করতে চান না অনেকে।
তবে ডার্মাটোলোজিস্টরা মনে করে, ত্বকের বাইরের পরিচর্যায় যেমন লোশনের প্রয়োজন তেমনি চুলের বাইরের আবরণে সুরক্ষার জন্য তেল ম্যাসাজ করা জরুরি। এছাড়া চুলে তেল দেয়ার সময় মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের স্বাস্থ্যকে আরও সুরক্ষিত করে তোলে।
চুলের যত্নে ঘরেই পেঁয়াজের তেল তৈরি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে ছোট দেখে দু’টি পেঁয়াজ ভালো করে কুচি করে নিন। এবার একটি পাত্রে ৬ টেবিল চামচ নারকেল তেল, দু কোয়া রসুন ও কাটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে গরম করে নিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
তৈরিকৃত এই তেলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণ আগে এই তেল মাথায় ব্যবহার করার চেয়ে শ্যাম্পু করার আগের রাতে এই তেল মাথার ত্বকে ও চুলে মাখতে পারেন। তাহলে শ্যাম্পু করার সময় কোনোরকম জটিলতার সম্মুখীন হবেন না আপনি। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
0 মন্তব্যসমূহ