এপিএ শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই: গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী


গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর/সংস্থাসমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।

শরীফ আহমেদ বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শর্তসমূহ প্রত্যেকটি দফতর/সংস্থা তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেরাই সুপারিশ করেছেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতেই চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো বাড়তি কাজ কোন দফতর বা সংস্থার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। সুতরাং এ চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য সকল দপ্তর/সংস্থা সরকারের নিকট দায়বদ্ধ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে সব প্রকল্পের কাজ যথাযথ গুণগত মান বজায় রেখে সমাপ্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) একটি বড় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া সব মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থার এপিএ বাস্তবায়ন হারের উপর জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।

চুক্তিপত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এবং দফতর/সংস্থাসমূহের পক্ষে দফতর সংস্থার প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন।

এপিএ স্বাক্ষর শেষে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রেড-১ হতে গ্রেড-১০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-২) মো. শওকত আলী, দফতর/ সংস্থার প্রধান ক্যাটাগরিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হায়দার এবং গ্রেড-১১ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৬ এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হালিমাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১ হতে গ্রেড-৯ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন-২ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিন, দফতর/সংস্থার প্রধান হিসেবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-১৬ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৫ এর কর্মকর্তা মো. হেদায়েতুল ইসলাম এবং গ্রেড-১৭ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে অফিস সহায়ক মো. ফরহাদ হোসেনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ