হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সহ দুইজন।
রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় মাওলানা মামুনুল হককে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এড রকিবুজ্জামান বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও এলাকার স্হানীয় বাসিন্দা রতন মিয়া মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেন। তবে সময় স্বল্পতার কারণে পারভেজের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তাই স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেছেন। এই মামলায় ৪৩ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। সোনারগাঁও থানার যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ এগারজন স্বাক্ষী দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩রা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে হেফাজতের নেতাকর্মী রয়েল রিসোর্টে অবস্থান নিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই নারী একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামুনুর হকের দাবি ওই নারী তার বিয়ে করা স্ত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ